



বাংলা খবর ডেস্ক: আজ থেকে 35 বছর আগে একজন অবিবাহিত মেয়ে মা হাওয়া সমাজের কাছে অপরাধ ছিল বললেই চলে। সে সমাজে সিঙ্গেল মাদার হলে তাকে সমাজের চোখে নিচু মনে করা হতো এবং তাকে একঘরে করে দেয়া হতো।সে দিক দিয়ে দেখতে গেলে আজকের যুগে দাঁড়িয়ে ‘সিঙ্গেল মাদার’ বিষয়টা খুব একটা নতুন নয়। কিন্তু সেই সময়ে দাঁড়িয়ে দুটি কন্যা সন্তানকে বুকে নিয়ে সিঙ্গেল মাদার হওয়ার সাহসীকতা দেখিয়েছেন রবিনা ট্যান্ডন।




মাত্র একুশ বছর বয়সে রবিনা ট্যান্ডন পুজা এবং ছায়া নামের দুটি মেয়েকে দত্তক নেন। তখন তার কেরিয়ারের শুরুর দিক। তার এই বড়ো সিদ্ধান্তকে নিয়ে বহু মানুষ বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি জানতেন ভবিষ্যতে এই বিষয় নিয়ে অনেক সমস্যা হবে তবে সে পিছুপা হয়নি। তিনি দুই কন্যা সন্তানকে ভালোবেসে কাছে টেনে নিয়েছিলেন। তিনি বলেন তাদেরকে দত্তক নেওয়া তার জীবনের ভালো সিদ্ধান্ত।




এই দুই কন্যা সন্তান কখনো তার কেরিয়ারের বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। নিজের বিয়ের আগে তিনি তাদের বিবাহ সম্পন্ন করান। রবিনার বিয়ের পর আরো দুই সন্তানের মা হন। কিন্তু তিনি রনবীর ও রাসার আসার পর পূজা ও ছায়াকে কখনো অবহেলা করেনি। এবং তার স্বামী অনিল ও তাদের মেয়ের মতো ভালোবাসে। পরবর্তী কালে অনেকেই ‘সিঙ্গেল মাদার’ হয়েছেন। এবং তাদের অনুপ্রেরণা হলেন রুবিনা ট্যান্ডন।



