




তাঁর বয়স ৯১ বছর। তাঁর দায়িত্বে তিনি এখনও খ্যাত। তিনি হলেন ডাঃ আর পি সুনাওয়ালা, তিঁনি জীবনদাতা নামেও খ্যাত বটে। প্র্যাকটিস শুরু করেছিলেন ১৯৪৮ সাল থেকেই। তারপর থেকে এত বছর ধরে একের পর এক জীবন দান করেই চলেছেন। ৯১ বছর বয়সী এই গাইনোকোলজিস্ট নিজের আত্মজীবনীতে লিখেছেন, অতীতে চিকিৎসা করতেন রোগীর নাড়ি দেখে। ব্লাড চেকআপ বা ডায়াগনস্টিক প্রক্রিয়া তো অনেক পরের ঘটনা। ফলে এটা বলাই বাহুল্য যে, তিনি ভারতের চিকিৎসা জগতের একটি গোটা অধ্যায়।
তাঁর হাত ধরেই কিন্তু হয়েছে কারিনা কাপুরের ছেলে তৈমুরের জন্ম। তাঁর হাতে ধরেই কিন্তু জন্ম হওয়ার কথা কারিনা কাপুরের দ্বিতীয় সন্তানেরও। ডঃ সুনাওয়ালার হাত ধরে কিন্তু এসেছে বাজাজ, কাপুর, আম্বানিদের পরিবারের নতুন সদস্যরা। নিতু কাপুর, গৌরী খান, জয়া বচ্চন, সকলের ডেলিভারি কিন্তু হয়েছে তার হাত ধরেই।তিনি দেখেছেন এ দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় নারীদের সন্তানের জন্ম। সেইকারণেই এদেশের সেলিব্রেটিদের অগাধ আস্থা তাঁর ওপর। ১৯৯১ সালে পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপ্ত হন এই প্রবীণ চিকিৎসক ডঃ আর পি সুনাওয়ালা। তার অবদান ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞানে অসামান্য।
বিখ্যাত অভিনেত্রী অনুস্কা শর্মা মা হয়েছেন ১১ ই জানুয়ারি। বিরাট অনুষ্কার মেযেরও জন্ম হয়েছে এই চিকিৎসকের হাত ধরেই। ববিতা কাপুর অর্থাৎ কারিনা কাপুর ও কারিশ্মা কাপুরের মা এর ডেলিভারি হয়েছে এদের হাত ধরেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রশিক্ষণ দেন ৯১ বছর বয়সী এই পার্সি প্রবীণ চিকিৎসক। তিনি মাঝেমধ্যেই সেমিনারের আয়োজন করেন যেখানে মা এবং সন্তানদের কিভাবে যত্ন নেওয়া যায় তা শেখানো হয়।



