জ্যোতিষ প্রতিকার্থে আপনার রত্ন, উপরত্ন, তাবিজ, কবজ গাছের মূল ব্যাবহার করে থাকি। কিন্তু এই সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে শুধু মাত্র জপ ও স্ত্রোত্র পাঠের মধ্য দিয়ে আমরা জীবনে সমস্ত বাধাবিঘ্নকে কাটিয়ে সহজেই অগ্রসর হতে পারি। অনেক মানুষের রত্ন ও উপরত্ন কেনা সাধ্যের বাইরে হয়ে থাকে আবার গাছের মূল, তাবিজ কবজ অনেকেই ব্যবহার করতে চান না। তাই সমস্ত কিছুর উর্ধে এবং রত্ন উপরত্ন ব্যাবহার ছাড়া জপ ও স্ত্রোত্র পাঠের মাধ্যমে জীবনে উন্নতি সম্ভব। আসুন দেখে নেওয়া যাক আপনার রাশি অনুযায়ী কোন দেবদেবীর জপ বা স্ত্রোত্র পাঠ উপযুক্ত :
১. মেষরাশি : হনুমান চালিশা পাঠ করুন প্রত্যহ দুবেলা। রবি প্রণাম মন্ত্র জপ স্নানের পর। বা সূর্যদেবকে প্রত্যহ অর্ঘ্য প্রদান করুন।
২.বৃষরাশি ; প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা আদ্দা স্ত্রোত্র পাঠ করুন। মহামৃত্যুঞ্জয় স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা।
৩. মিথুনরাশি : নবগ্রহ স্ত্রোত্র পাঠ প্রত্যহ দু-বেলা। মহামৃত্যঞ্জয় মন্ত্র পথ করুন।
৪. কর্কটরাশি : হনুমান চালিশা পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। গণেশের ধ্যান করুন যেকোনো সময়ে স্নানের পর।
৫. সিংহরাশি : রবি প্রণাম মন্ত্র প্রতিদিন স্নানের পর পাঠ করুন। নবগ্রহ স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা।
৬. কন্যারাশি : প্রতি শুক্রবার দূর্গা স্ত্রোত্র পাঠ করুন। নবগ্রহ স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা।
তুলারাশি : নবগ্রহ স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। মহামৃত্যুঞ্জয় স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। মহামৃত্যঞ্জয় মন্ত্র পথ করুন।
বৃশ্চিকরাশি : প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীদেবীর ধ্যান ও প্রণাম মন্ত্র পাঠ করুন। আদ্দা স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দুবেলা।
ধনুরাশি : নবগ্রহ স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। গণেশের ধ্যান করুন যেকোনো সময়ে স্নানের পর।
মকররাশি : নবগ্রহ স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। সংকটা স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা।
কুম্ভরাশি : প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীদেবীর ধ্যান ও প্রণাম মন্ত্র পাঠ করুন। আদ্দা স্ত্রোত্র পাঠ করুন প্রত্যহ দুবেলা।
মীনরাশি : হনুমান চালিশা পাঠ করুন প্রত্যহ দু-বেলা। গণেশের ধ্যান করুন যেকোনো সময়ে স্নানের পর।