ইন্দোনেশিয়ার কেপু গ্রামে কিছুদিন যাবৎ চলছে ভূতের উৎপাত। চাঁদের আলোয় সাদা কাপড় পরিহিত রহস্যময় ভূতেদের দেখে চমকিত হতে হচ্ছে বহু পথচারীকেই।
তবে এই ভূত গুলো আসলেই মানুষ। কোরনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই রাখা হয়েছে লকডাউন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া অকারনে বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে মানুষকে। তারপরেও বহু মানুষ এই নিয়ম মানছেন না। আর এই পরিস্থিতিতে মানুষকে ঘরে রাখতে এই অভিনব পদ্ধতি বেছে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের এই ছোট্ট গ্রামের কর্তৃপক্ষ। তাদের বিশ্বাস পুরনো কুসংস্কার আশ্রিত গ্রামের বাসিন্দারা এতে ঘরে থাকবে।

আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মেপে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,করোনা ভাইরাস সতর্কতায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পুলিশের সহায়তায় গ্রামের একদল তরুন গোপনে এই ভূত সেজে ভয় দেখানোর কাজটি করছে। গ্রামের তরুনরা সাদা কাপড় পরে মুখে পাউডার ও চোখে কালি মেখে ‘পোকং’ সেজে ভয় দেখাচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার লোককথা অনুসারে, পোকং হলো সাদা কাপড়ে মোড়ানো ভূত। মরে গেলে মানুষের আত্মা এরকম ভুতের বেশ ধরে আসে। মানুষকে ভয় দেখায়। গ্রামের মানুষের কাছে ‘পোকং’ খুবই ভুতুড়ে এবং ভয়ংকর।
আরও পড়ুনঃ সোমবার থেকে বারতে চলেছে মেট্রো পরিষেবা, বেশি রাত অব্দি পাওয়া যাবে মেট্রো
তবে এই পরিকল্পনা কতটা কার্যকরী হয়েছে তা জানা যায়নি। বরং শোনা গেছে বিপরীত প্রতিক্রিয়ার কথা। প্রথমদিকে নাকি ভূতের ভয় পাওয়ার পরিবর্তে ভূত দেখতে নাকি অনেকে জমায়েত করতেন রাস্তায়। আবার এও শোনা গেছে ভূত কে পাকড়াও করে প্রায় ধরে ফেলার ঘটনাও ঘটেছিল। তার পরেও অবশ্য এমন ভুতুড়ে টহল অব্যাহত রয়েছে গ্রামটিতে।