



বাংলা খবর ডেস্ক: কর্পূর আমাদের সকলের অত্যন্ত পরিচিত একটি উপাদান। পূজা বাড়িতে, গৃহস্থের ছোটখাটো কাজে, গরমকালে জল ঠান্ডা রাখতে কর্পূরের ব্যবহার দেখা যায়। প্রাচীনকালে চুলের যত্নে কপূর ব্যবহৃত হতো। কিন্তু এই কর্পূর আরো কতশত কাজে লাগে তা অনেকেরই অজানা। আসুন জেনে নেই কর্পূরের অজানা কিছু ব্যবহার।




১. শরীরের কোনো অংশে চোট, ব্যথা বা ফোলা হলে তার উপর কর্পূর মালিশ করুন। খুব শীঘ্রই ব্যথার উপশম হবে। এছাড়া পুরনো কাটা বা পোড়া দাগ থেকে মুক্তি দেয় কর্পূর। প্রতিদিন অল্প জলে সামান্য কর্পুর মিশিয়ে দাগের উপর লাগালে আস্তে আস্তে দাগ দূর হয়। তবে সদ্য কেটে যাওয়া পা পুড়ে যাওয়া তাদের উপর ভুলেও লাগাবেন না।




২.পেশীর ব্যথা দূরীকরণে অত্যন্ত কার্যকরী কর্পূর।হাতে বা পায়ে হঠাৎ হ্যাচকা টান দেখা দিলে বা পেশীর ব্যথা শুরু হলে জলের মধ্যে কপূর মিশিয়ে তা ভালো করে ব্যথার উপর মালিশ করলে ধীরে ধীরে পেশীর ব্যথা কমে আসে। কারণ কপূর পেশীকে শান্ত করে। এমনকি দাঁত ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।




৩.চুলকানি সমস্যায়, অল্প একটু কর্পূরের তেল জলে মিশিয়ে ভালো করে চুলকানির উপর লাগিয়ে ফেলুন। খুব শীঘ্রই চুলকানির উপশম হবে। গরমকালে এই তেল সারা শরীরে মালিশ করলে এলার্জি দূর হয়।




৪.অমসৃণ ফেটে যাওয়া গোড়ালির সমস্যায় যারা ভোগেন তারা নরম মসৃণ গোড়ালি পেতে ব্যবহার করুন কর্পূর। নিয়মিত কর্পূর মেশানোর জলে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে রেখে ভাল করে স্ক্রাব করে নিলেই দেখবেন গোড়ালি হয়ে উঠেছে মসৃণ ও নরম। আর অবশ্যই মশ্চারাইজার ব্যবহার করে নেবেন।




৫.কর্পূর বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে সুস্থ রাখে। কর্পূর তেলের অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুন ত্বকের যে কোনো রকমের এলার্জিতে খুব ভালো রকমের কাজ দেয়। সেইসঙ্গে যেকোনো পোকার কামড়ে ঘটা সংক্রমণ দূর করতেও সাহায্য করে।এছাড়া খিঁচুনির সমস্যায় দূর করতেও সাহায্য করে।




৬.ব্রণের সমস্যায় কর্পূর কার্যকরী একটি উপাদান। কর্পূর আর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুন ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমায় এবং ত্বকের জীবানু নাশ করে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সুস্থ ও উজ্জল।




৭.কর্পূর তেলের সাথে ডিম দই মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুল হয়ে ওঠে নরম মোলায়েম ও উজ্জ্বল। এছাড়া বিভিন্ন এসেন্সিয়াল অয়েলের সাথে কপূর তেল মিশিয়ে মাথায় মাখলে চুলের বৃদ্ধি হয়। কপূর তেলের সাথে আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে মাখলে চুল পড়া রোধ হয়, নতুন চুল গজায় ও শক্ত ঘন চুল হয়।



