অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী এবং অধ্যাপক অরিন্দম মন্ডল আবিষ্কার করে ফেললেন এক অবিশ্বাস্য যন্ত্র যার ফলে অতি অল্প খরচায় করা যাবে কোভিড 19 এর পরীক্ষা পরীক্ষা করতে গেলে রীতিমত বহু খরচা সম্মুখীন হতে হয় সাধারণ মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য এখানে ওখানে তাদেরকে যেতে হয় যার ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে আরও বেশি তবে এই দুই অধ্যাপকের আবিষ্কার মানুষকে ঘরে বসে জানিয়ে দেবে তার করোনার রিপোর্ট মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে করোনা পজেটিভ না নেগেটিভ
কী ভাবে করা হবে ওই পরীক্ষা?
অত কথা জানিয়েছেন প্রথমে কোন মানুষের থেকে তার লালা রস সংগ্রহ করতে হবে এবং ওই ভাইরাসের আরএনএ বা রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড পাওয়া যাচ্ছে কি না তাই দেখা হবে ওই পরীক্ষায়। তাদের দাবি অত্যন্ত কম খরচে মাত্র 400 টাকার বিনিময়ে তারা করতে পারে এই পরীক্ষা এবং এই যন্ত্রের সাহায্যে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষার সম্পূর্ণ হয় এই যন্ত্রের দ্বারা বহু মানুষের রেজাল্ট পাওয়া যাবে যা খুবই অল্প সময়ে মাত্র 1 ঘন্টায় জানা যাবে এর রেজাল্ট এবং যেটি মোবাইল অ্যাপের দ্বারা আপনি পেয়ে যাবেন

দিন দিন যে হারে করোনা বেড়ে চলেছে শেয়ারে পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না এবং এর পরীক্ষা অত্যন্ত ব্যয়বহুল সাধারণ মানুষের পক্ষে তা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে পরীক্ষা করার অর্থাৎ টাকা খরচ হয়েছে অনেকেই পরীক্ষা করাচ্ছেন না এবং এর ফলে আপনার অজান্তেই বেড়ে চলেছে করো না আপনি জানতে পারবেন না আপনার দেহে বাসা বেঁধে আছে এই ভাইরাসটি সমস্ত মানুষের কথা চিন্তা করে অরিন্দম বাবু এবং সুমন বাবু তৈরী করে ফেললেন এই যন্ত্রটি
আরও পড়ুনঃ ভারত বায়োটেকের করোনার টিকা Covaxin-এর প্রথম পর্বের ট্রায়াল ; ফলাফল অভূতপূর্ব
তারা দাবি করেছেন যন্ত্রটি পরিকাঠামোর দিক থেকে খুব উন্নত এবং যে কেউ এর ব্যবহার করতে পারবে যন্ত্রটি খুব সহজে ব্যবহার করা যাবে এবং একই সঙ্গে বহু মানুষের পরীক্ষা করা যাবে। তাঁদের তৈরি করা ওই পোর্টেবল যন্ত্রের মাধ্যমে একটি পেপার স্ট্রিপ দিয়েই এই পরীক্ষা করা যাবে। এক জন স্বল্প প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীও ওই যন্ত্র চালাতে পারবেন বলে দাবি গবেষকদের। এই যন্ত্রের মাধ্যমে সহজে করোনা পরীক্ষা করা যাবে।
মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে করোনা পরীক্ষার ফলাফল।
অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘ এখন যেখানে নজর দেবেন সেখানে দেখবেন করনা পেশেন্ট আর সব জায়গায় তো আর করো না পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না তা ছাড়াও এই পরীক্ষা অত্যন্ত ব্যয়বহুল আমরা ভাবলাম এমন কি করা যায় যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয় আর এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়

তাই এই যন্ত্র তৈরি করে ফেললাম।’’ খড়্গপুর আইআইটির তৈরি এই যন্ত্রের দাম ২ হাজার টাকার মধ্যে। যন্ত্র উৎপাদন বাড়লে তার খরচ আরও কম পড়বে বলেই দাবি করেছেন গবেষকরা। অধ্যাপক অরিন্দম মণ্ডলের কথায়, ‘‘ এই যন্ত্রে শুধু করো না পরীক্ষা করা যাবে তাই নয় আর এন এ সংক্রান্ত যেকোন ধরনের পরীক্ষা এই যন্ত্রের মাধ্যমে করা যাবে।’’
আরও পড়ুনঃ 18 বছর বয়সে করা পাপের শাস্তি আজ ভুগছেন এই বাবা রীতিমতো কাটার উপরে শুয়ে থাকেন তিনি
আমরা সবাই চাই এই যন্ত্রের ব্যবহার যাতে বাজারে ছড়িয়ে পড়ুক এবং সাধারণ মানুষের কাজে এই যন্ত্র পৌঁছে যায় তাতে খুবই অল্প খরচেই সাধারণ মানুষ তা করোনা রিপোর্ট পেয়ে যেতে পারে ।।