



চালু হয়ে যাচ্ছে মাঝেরহাট ব্রিজ। মুখ্যমন্ত্রীর নতুন ব্রিজের নাম দিয়েছেন জয়হিন্দ ব্রিজ। গত শুক্রবারই মাজেরহাট ব্রিজ চালু করা নিয়ে যাবতীয় জটিলতার অবসান হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে টুইট করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, পূত দপ্ততরপ্রয়োজনীয় সেফটি সার্টিফিকেট জমা করার অল্প সময়ের মধ্যে রেল সেতু চালু করা নিয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। পারলে সেতু কবে চালু করা হবে, বল এখন রাজ্যের কোটে।




ফলে সেতু নিয়ে রেল রাজ্য দ্বৈরথ কেটে গিয়ে ছিল বলেই মত প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলের। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। এই ব্রিজ জাতীয় সড়কের অন্তর্ভুক্ত। ব্রিজ নির্মাণকারী সংস্থা এসপি সিংলা কনস্ট্রাকশন এই কেবল স্টেট সেতু বানিয়েছে।৬৩৫ মিটার এই সেতু দাঁড়িয়ে আছে পুরো কে বলের উপরে। গত বৃহস্পতিবার মাঝেরহাট ব্রিজ নিয়ে আন্দোলনের নামে বিজেপি। তারা তলা মড়ে তাদের বিক্ষোভের জেরে রাজনৈতিক আঁচ গড়ায় অনেক দূর পর্যন্ত। নবান্ন থেকে পূত মন্ত্রী পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন, কবে কবে আবেদন জানানো হয়েছে। কতদিন পরে অনুমতি মিলেছে।




মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রেলের জন্যেই সেতুর উদ্বোধনে বিলম্ব হচ্ছে। যদিও রেল দাবি করে সেতু নিয়ে পূত দফতর কাজ শেষের পরে ফিট সার্টিফিকেট জমা করে নি। যে কারনেই সেতু চালু র জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে পারছেনা রেল।




রেল সূত্রে খবর, গত শুক্রবারই নবান্ন থেকে ফিট সার্টিফিকেট পাঠানো হয়।তড়িঘড়ি সেই সার্টিফিকেট দেখে অনুমোদন দেয় রেল। প্রথা এবং আন্তর্জাতিক কোড মেনেই সেতুর ভার বহন ক্ষমতা যাচাই করেছে নির্মাণ সংস্থা ও পূত দফতর। সেতুর কেবলের টিউনিং অর্থাৎ সংকোচন প্রসারণ দেখা হয়েছে।




এছাড়া সেতুর নিজস্ব ওজন যাচাই বা ডেড লোড পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেতুর উপর বিভিন্ন ওজনের গাড়ি চালিয়েও দাঁড় করিয়ে রেখে সেতুর শক্তি পরীক্ষা করা হয়েছে। যাতে সেতুর কম্পন বোঝা গিয়েছে। সমস্ত পরীক্ষা শেষ। অনুমতি এসে গিয়েছে রেলেরও। এখন শুধু আগামীকাল চালুর অপেক্ষায় মাঝেরহাট ব্রিজ।



