



বাংলা খবর ডেস্ক: যেই সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা এখন এগিয়ে চলছি সেখানে ‘যৌনতা’ একটা অবাধ্যতায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বদ্ধ ঘরেই এখন যৌনতা থেমে নেই, যেখানেই প্রেম মৌখিক আদানপ্রদানের থেকে আরেকটু গভীরতা পেয়েছে সেখানেই শরীর একটা অন্যতম চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অনেক সম্পর্ক আছে যেখানে শারীরিক সম্পর্ক খুবই দুর্বল এবং শত ঐশ্বর্য থাকা স্বত্বেও সেই সম্পর্কগুলি ভেঙে যায়। কারণ একটাই, যখনই আমরা আমাদের হরমোনের চাহিদা মেটাতে পারিনা তখনই আমাদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক জটিলতা তৈরি হয়ে যায়। তাই স্বাস্থ্যকর যৌনতা কোন বিরিয়ানি বা পোলাও নয়, এটিও আমাদের রোজকার ডাল ভাতের মতো অত্যন্ত সাধারণ বিষয়। তাই আজ আমরা কথা বলব স্বাস্থ্যকর যৌনতা প্রসঙ্গে, যেখানে ‘কনডম’ একটা উল্লেখযোগ্য উপাদান। চলুন জেনে নিই সঠিক কোনডম কেনার সংক্ষিপ্ত গাইড।




মোগল শাসন থেকে ব্রিটিশ শাসনকালে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে প্রবেশ করেছিল এই দেশে। সেই সময় যৌনতাও একটা অন্য পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল দেশে। বিজ্ঞান বইতে সেক্স এডুকেশন বলতে কিছুই নেই। পাঠ্যবইয়ে থাকা লেখা গুলো খুবই অপ্রাসংগিক বলে মনে হতো বরং বোকা বাক্সের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অবাধ্য যৌনতা আশ্রয় পেয়েছে আমাদের মগজে। ক্রাইম বেড়েছে, বেড়েছে অশ্লীলতা




আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যৌনতা সীমাহীন স্পর্ধায় পরিনত হয়েছে। তাই কনডম ব্যবহার এখন আবশ্যিক। কঠিন যৌন ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কমাত্র উপায় হল কনডম। এর পাশাপাশি এই বস্তুটি গর্ভনিরোধক হিসেবেও কাজ করে। এটি সাধারণত ল্যাটেক্স পলিইউরেথিন বা নাইট্রাইল নামের পধার্থ দিয়ে তৈরি হয়। কনডমের বাইরের গায়ে লুব্রিকেন্ট লাগানো থাকে এই লুব্রিকেন্ট খুব সহজেই ভাজাইনাল ড্রাইনেস কাটিয়ে দেয় এবং সহবাসে পথকে মসৃণ করে তোলে। বিশেষ করে প্রথম সহবাসের সময় এটি সবার ব্যবহার করা উচিত কারণ যদি ন্যাচারাল উপায়ে ভ্যাজাইনা থেকে লুব্রিকেন্ট না বেরিয়ে আসে তবে সহবাসের সময় স্বাভাবিকের থেকে বেশি যন্ত্রণা ভোগ হতে পারে। অনেকে আছেন যারা নিজেদের মুখের লালা রস ব্যবহার করে থাকেন তবে এই পদ্ধতিটি ক্ষণিকের জন্য কাজ করলেও স্থায়ী হয় না। এখনকার সমাজে এই বস্তুটি সত্যিই একটি প্রয়োজনীয় জিনিস।




তাই লজ্জাকে দূরে রাখুন, আপনার সঙ্গীকে নির্দ্বিধায় বলুন কনডম ব্যবহারের কথা এবং আপনার সন্তান যদি কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের দিকে এগিয়ে যায় তবে তাঁর কানেও তুলে দিন কনডমের ব্যবহার প্রসঙ্গে।