



বাংলা খবর ডেস্ক: বাঙালি মানেই দীঘা, পুরি, দার্জিলিং। পুরী বঙ্গবাসীর দ্বিতীয় ঘর।ওড়িশার এই জায়গায় মানুষজন বিচার করে ওড়িয়াদের থেকে বাঙালিদের সংখ্যা সামান্য বেশিই হবে এমনটাই ধারনা করা যায়।ওড়িশার এই পুরিতেই জগন্নাথ দেবের বাসমন্দির।এই মন্দির দর্শনের জন্য দেশ বিদেশ থেকে দর্শনার্থী রা ছুটে আসেন।তবে সব থেকে বেশি ভীর হয় বাঙালি পর্যটক দের।এই পুরি আর জগন্নাথ দেবের মন্দির সম্পর্কে নতুন করে বিশ্লেষন করার আর প্রয়োজন পড়ে না।যদিও কিছু তথ্য এখানে জানানো হল,দেখে নেওয়া যাক।




- সুদর্শন চক্র : পুরীতে যে কোনো জায়গা থেকে মন্দিরের উপরের চূড়ায় অবস্থিত চক্রর দিকে তাকালে ওই সুদর্শন চক্র সামনেই দেখায়।
- পতাকার গতিবিধি : মন্দিরের চূড়ার উপর যে পতাকা টি অবস্থিত আছে তা সবসময়ই হাওয়ার বিপরীত দিকে ওড়ে।
- মন্দিরের ছায়া : মন্দিরের সব চেয়ে বড়ো প্রাসাদ টির ছায়া দিনের বেলায় যে কোনো সময়ই অদৃশ্য হয়ে থাকে।
- সিংহদ্বারের সিড়ি : মন্দিরের ভিতর দিকে সিংহদ্বারে প্রবেশ করার পর ই প্রথম সিঁড়িতে কেউ পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের গর্জনের আওয়াজ আর তিনি শুনতে পারবেন না। এরপর ওই সিঁড়িটি পাড় করার পর আবার ওই ব্যাক্তি সমুদ্রের শব্দ শুনতে পাবেন। সন্ধ্যাবেলার দিকে এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অনুভব করা যায়।
- হাওয়ার গতি : প্রধানত দিনের বেলার দিকে বাতাস সমুদ্রের দিক থেকে সমুদ্রতটের দিকে বয়ে আসে।এছাড়াও সন্ধ্যে বেলায় সমুদ্রতটের দিক থেকে সমুদ্রের দিকে হাওয়া বয়।কিন্তু পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ক্ষেত্রে এই বিষয় টি পুরোপুরি উল্টো। সকালের দিকে সমুদ্র তট থেকে সমুদ্রের দিকে বাতাস বয়ে চলে, এবং সন্ধ্যায় সমুদ্রের দিক থেকে সমুদ্রতটের দিকে বাতাস বয়।
- মন্দিরের উপর আর কেউ নয় : পুরীর মন্দিরের এক আশ্চর্য বিষয় হল,কোনও বিমান বা পাখি উড়তে পারে না,এমনকি এমন কিছু আজ পর্যন্ত দেখাও যায় নি।
- রান্নার পদ্ধতি : শ্রীমন্দিরের রান্নাঘরে একটি পাত্রের উপর আর একটি পাত্র বসিয়ে এমন ভাবেই মোট ৭টি পাত্র একই সাথে আগুনে বসানো হয় রান্না করার জন্য। এইরকম পদ্ধতিতে যেই পাত্রটি সবচেয়ে উপরে বসানো থাকে তার রান্না সবার আগে সম্পন্ন হয় ।লোকমুখে শোনা যায় জগন্নাথ ভগবান দেবের আশীর্বাদের কারনেই এমন ঘটনা হয়।
- পুনর্জীবনদান : প্রধানত কোনও মন্দিরে মূর্তি হয় পাথর নয়তো ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়। কিন্তু পুরীর মন্দিরেদেখা যায় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা তিনজনের মূর্তিই কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে প্রত্যেক ১২ বছর অন্তর বিশেষ একটি গোপন রীতি মেনে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে নতুন শরীর দেওয়া হয় এই মন্দিরে। এর মানে নতুন রূপে তৈরি করা হয় এই মুর্তি গুলিকে, যাকে বলা হয় নবকলেবর বা পুনর্জন্ম।
- প্রসাদ ভোগ : পুরির মন্দিরের সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হল এই মন্দিরের প্রসাদ ভোগ।জানা গিয়েছে সারা বছর ধরেই একই পরিমান প্রসাদ ভোগ রান্না করা হয় এখানে।কিন্তু এই সম পরিমান ভোগ দিয়েই যত পরিমান দর্শনার্থী ই হোক না কেন প্রসাদ ভোগ দেওয়া হয়,এবং কখনো তা কম পড়ে না বা কখনো নষ্ট হয় না।




Get all the Latest Bengali News KolkataHunt.Com. catch out all Bangla Khobor here, follow us on Twitter and Facebook, Instagram